নারীর কুমারীত্ব এবং পুরুষ

বিয়ের পর পুরুষ অসহায়!
আজ একটু অফ টপিকে যাব।তাঈ টপিকটা যেহেতু সেন্সেটিভ এবং এডাল্ট তাই আমার শ্রদ্ধেয় গরু জনদের এবং স্নেহের বাচ্চাদের এখানেই ইতি টানতে অনুরোধ করছি।#প্লিজ আর পড়ার দরকার নাই।
আমার এই পোষ্টটি শুধুমাত্র অবিবাহিত ও বিবাহিত  বন্ধু বান্ধবীদের জন্য ।
মূল প্রসঙ্গে আসিঃ
ভার্জিনিটি নিয়ে অবিবাহিত পুরুষের জল্পনা কল্পনার শেষ নেই। সেই সাথে অবিবাহিত নারীদেরও।  বিয়ের আগে সব ছেলেই তার হবু বউ ভার্জিন হবে সেটাই আশা করে।আর নারীরা আশা করে এমন একজন পুরুষকে যার কাছে সে মানুষিক ও জৈবিক সুখ পাবে।এ ক্ষেত্রে পুরুষের প্রথম পছন্দ স্ত্রী যেন কুমারী হয়।
যাদের কপাল ভালো তারা পেয়েও যায় আর মন্দ কপালে দের জন্য মুখ বুজে মেনে নেয়া ছাড়া উপায় থাকে না। এর মধ্যে যারা সত্যিই কুমারী তারা নির্ভয়ে থাকে । নিজেকে উজার করে দেয় প্রিয় মানুষের কাছে।কিন্ত যে নারী কুমারীত্ব হারিয়েছে পূর্বেই সে নারী হয়ত তার কুমারীত্ব প্রমাণের জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যায়।
মিলন শেষে মেয়েটা ভাবে, "যাক বাবা,আহ উহ করে বেঁচে গেলাম।" সো টেনশনটি নট।
আরে আপারা,এত কষ্ট করার কি দরকার!পুরুষের একটা গোপন কথা বলি,"অধিকাংশ পুরুষই নারীর কুমারীত্ব আছে কি নাই তা টের পায়না। হয়ত জানেও না, বুঝেও না। তাই, নো টেনশন।
কিন্তু এটাও সত্য যে নারীর স্পর্শই বলে দেয় সে কুমারী আছে কি নাই।আর অন্যান্য নিয়ামত সমূহ তো আছেই।
যাই হোক,
কোন ছেলেই তার বউ ভার্জিন না হলেও অন্যকে বলতে যায় না,যাবেও না।সে সব কিছু মেনে নেয় এই ভেবে যে,"Past is past ".আর অন্যকে বলার তো প্রশ্নই আসে না  । বরং সব জেনে বুঝেও তার স্ত্রী কে বুঝতে দেয় না যে সে সব বুঝতে পেরেছে। কারণ একটাই,যেন সংসারটা বিষের না হয়।
কিন্তু পুরুষ যখন সব কিছু জেনে বুঝেও মুখ বুজে চুপ করে থাকে।তখন নারীর উচিত তার প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকা।  পূর্বের জীবন ভুলে নতুন জীবন শুরু করা। কিন্তু বর্তমান যুগে যা দেখা যায় তা সম্পূর্ণ বিপরীত। আর তাই সংসার হয় অশান্তির বীজাগার আর সম্পর্ক গুলো হয় ক্ষনস্থায়ী। এরই মধ্যে নারীর হাতে একটা ফালতু আইনি অস্ত্র আছে যা সে  বেচারা স্বামীর উপর কথায় কথায় প্রয়োগ করতে উদ্যত হয়।
কি আর করার তখন?
তখন পুরুষ হয়ে উঠে অসহায়!:P
নারী বিদ্বেষী মনে হচ্ছে আমাকে, তাই না?
না রে ভাই,আমি একদম নারী বিদ্বেষী নই। :)
২।
নারীর কুমারীত্ব নিয়ে বহু কথা বলেছি।এবার আসি পুরুষের কুমারত্ব নিয়ে । দুঃখিত ভাই, সৃষ্টিকর্তা পুরুষের কুমারত্ব নির্নয়ের জন্য কোন মাপ কাঠি দেন নাই,পদ্ধতিও কেউ কোন দিন জানায় নাই।যা দিয়েছেন তাতে পরিমাপ করার কিচ্ছু নাই। পুরুষ নিজেই ছাড়া আর কেউ জানে না সে একগামী না বহুগামি!
বাইচ্চা গেছস ব্যাটা,নইলে গর্তে পইড়া যাইতি! :P

No comments:

প্রিয় দেবী (বিরহের চিঠি) ৩

প্রিয় দেবী, অনেকদিন পর তোমায় লিখছি। কতদিন পর! ঠিক ঠাক মনে পড়ছেনা কিছুই। শুধু মনে পড়ে, শত শত চিঠি পাঠিয়েছি বেনামী ঠিকানায় বহুদিন। হয়ত সেসব কখ...