জোসনা ও কবিতা

অনন্ত যৌবনা পূর্নিমার রাত দেখলে কবি মন বোধ হয় এমনি তেই জেগে উঠে।আমার জায়গায় নীলকান্ত থাকলে হয়ত এতক্ষনে তার দু চার ছত্র লেখা হয়ে যেত! কিন্তু আমি কবি নই।কবিতার ক, আর গল্পের গ লিখতেও আমার কলম ভাঙে।তাই বৃথা চেষ্টা করা মোটেও সমিচীন হবে না।
অগত্য, নিজের বিদ্রোহী মনকে একটু শান্তনা দেবার জন্য বার বার রবীন্দ্রনাথের নিবারন চক্রবর্তীকে ডাকার চেষ্টা করছিলাম।
"#কোথায় আছো নিবারন চক্রবর্তী, ভর করো আমার উপর।বাণী দাও বাণী।"
কিন্তু না, নিবারন চক্রবর্তী আর এলেন না।তার প্রেতাত্মা দূরে থেকে মনে হয় হাসছেন।অথবা ভক্তের ডাকে সারা না দিতে পারার মনোকষ্টে জর্জরিত হয়ে আরেকবার গঙ্গার জলে জীবন বিসর্জন দেয়ার তরিকা খুঁজছিলেন।
এদিকে মেঘহীন হেমন্তের রাতের আকাশটা রুপালী চাঁদের আলোয় আপনার প্রশংসা শুনবার ব্যাকুলতায় অধৈর্য্য। কিন্তু এই কবিতার "ক " কলম আর গল্পের "গ" কলমের উপর ভর করে রুপালী চাঁদের বর্ননা করি সাধ্য কি আমার! রবি দা নিজেই নিবারণ দা'র সব ভাষা কুক্ষিগত করে শেষ করেছেন।এমতাবস্থায় এই হতভাগা স্বপ্ননীলের ডাকে সারা দেবার মত ভাষা আজ নিবারণ দা'রও নেই।
মনের এক কোণে কোথায় যেন এক টুকরো আশার সঞ্চার করার চেষ্টা যখন বৃথা যাচ্ছে তখন 
#নীলকান্তের উপর শেষ ভরসা।
বলি, "ও কান্ত দা,
কিছু বাণী দাও বাণী।"
"পায়ে ধরি কান্ত দা, দু কলম লেখার জন্য অন্তত একবার আমার উপর ভর কর! "
অনেক কারুবারু করে কান্ত দা'র মন গলেছে কিনা জানি না।তবে এমন রাতে প্রিয়ার চিবুকে হাত রেখে একবারো যদি বলতাম,
"প্রিয়ে,আকাশের চাঁদ দেখেছো? আধারের বুকে কি মিষ্টি আলিঙ্গন তার।যেন আধারো লুকিয়ে পড়েছে তার ভালোবাসায়।।
খুব ইচ্ছে করছে সেই আধার হতে।আর তুমি সেই পূর্নিমার চাঁদ।যার বুকে মিশে যেতে চাই আমি।"
তবে নিশ্চিত আজ প্রিয়া আমায় ফিরাতে পারতো না।
#স্বপ্ননীল
(সংক্ষিপ্ত)
www.facebook.com/swopnonil

No comments:

প্রিয় দেবী (বিরহের চিঠি) ৩

প্রিয় দেবী, অনেকদিন পর তোমায় লিখছি। কতদিন পর! ঠিক ঠাক মনে পড়ছেনা কিছুই। শুধু মনে পড়ে, শত শত চিঠি পাঠিয়েছি বেনামী ঠিকানায় বহুদিন। হয়ত সেসব কখ...